গর্ভকালীন ডায়াবেটিসকে অবহেলা নয়

আমাদের চারপাশে প্রতি ১০ জন নারীর একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সাধারণ ডায়াবেটিসের পাশাপাশি নারীরা বিশেষ ধরনের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হন, যার চিকিৎসাপদ্ধতি ও জটিলতা ভিন্ন। রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা পাওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস জনিত মৃত্যুর হারও নারীদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় বেশি।

*  অল্প বয়সেই বিপুলসংখ্যক নারী গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থান ভেদে এই সংখ্যা ৮ থেকে ১৪ শতাংশ। ওজনাধিক্য, পারিবারিক ইতিহাস, কায়িক শ্রমহীনতা, বেশি বয়সে সন্তান জন্মদান ইত্যাদি এর ঝুঁকি বাড়ায়। আগের সন্তানের বেলায় ডায়াবেটিস থাকলে বা আগে গর্ভপাত বা গর্ভে সন্তান মৃত্যুর ঘটনা থাকলে ঝুঁকি আরও বেশি। গর্ভধারণের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা জরুরি।

* যাঁদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে, তাঁদের আবার একটা বিরাট সংখ্যা পরে ডায়াবেটিক রোগীতে পরিণত হন। সন্তান জন্মের ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর আবার গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করে এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ হতে হবে।

* বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত, গর্ভে সন্তানের মৃত্যু বা নবজাতক মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটলে ডায়াবেটিসের কথা মাথায় রাখা উচিত। যাঁরা আগে থেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁরা সন্তান নেওয়ার আগে ভালো করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, ওষুধের পরিবর্তে ইনসুলিন গ্রহণ করে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

* ডায়াবেটিসের কারণে বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ, যোনিপথের ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি সমস্যা নারীকে পর্যুদস্ত করে দেয়। এ ছাড়া ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

ডা. তানজিনা হোসেন
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ
সোর্স – প্রথম আলো

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *