গরমে সুস্থ থাকার নয় সূত্র

গরমে সুস্থ থাকার নয় সূত্র

ছবি :সংগৃহীত

গ্রীষ্মের তাপদাহে জনজীবন হয়ে পড়ে অস্থির। গরমের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে সবাই একটু ঠাণ্ডা পরশ খোঁজে। অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা, ডায়রিয়া, খাদ্যে বিষক্রিয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা হয়।

তবে একটু সচেতন হলে গরমেও সুস্থ থাকা যায়। গরমে সুস্থ থাকতে রইল কিছু পরামর্শ। 

১. গরমের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। পাশাপাশি তরল খাবার খান। তবে বাজারের অস্বাস্থ্যকর খোলা লেবুর শরবত, আখের রস, তরমুজের রস ইত্যাদি খাবেন না। কারণ, বাইরের অস্বাস্থ্যকর ফলের রস থেকে খাদ্যবাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন, ডায়ারিয়া, জন্ডিস  ইত্যাদি হতে পারে।

২. গরমের সময় পানিযুক্ত তাজা দেশি ফল যেমন, তরমুজ, পেঁপে, কলা, শসা, জামরুল ইত্যাদি বেশি করে খান।

৩. গরমে ঘাম জমে শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। তাই ঘাম জমতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে প্রত্যেক দিন আন্ডারওয়্যার ও মোজা পরিষ্কার করুন। গরমের এই দিনে মোটা কাপড় না পরাই ভালো। এ সময় সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দিন।

৪. গরমকালে রাস্তাঘাটে ধুলার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই  বাহির থেকে বাসায় এসে ভালো করে মুখ-হাত ধুয়ে ফেলুন।

৫. গরমে বাইরে বের হতে হলে টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন। আর প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো। 

৬. গরমের সময় গোসল বাদ দিবেন না। প্রয়োজনে কয়েকবার গোসল করতে হবে।

৭.  এ সময় বেশি মসলাযুক্ত খাবার এবং রাস্তায় বিক্রি হওয়া খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন। চা ,কফি , কোমল পানীয় খাবেন না। কারণ, এসব খাবার  শরীরে পানিস্বল্পতা তৈরি করে ।

৮. গরমের সময় খাবার তাড়াতাড়ি পচে যায় বা খাবারে বিষক্রিয়া হয়। এগুলো থেকে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই, খাবার যেন টাটকা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৯. গরমে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন। প্রস্রাবের গাঢ় রং পানি স্বল্পতার লক্ষণ। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

ডা. শাকিল মাহমুদ

লেখক : সভাপতি, বিশুদ্ধ খাদ্য চাই এবং সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।

আরওস্বাস্থ্য টিপসপেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।

বৈশাখের গরমে স্বস্তি আনতে স্বাস্থ্যকর সাত তরল

বৈশাখ মানেই অনেক গরম। এ সময় নিজেকে আর্দ্র রাখতে হবে।  তাই স্বাস্থ্যকর তরল পানীয় পান করা প্রয়োজন। তবে এসব তরল ঘরে তৈরি করে খাওয়াই ভালো। বাইরের অস্বাস্থ্যকর তরল খেয়ে টাইফয়েড, জন্ডিসের মতো রোগ হতে পারে।

আজ জানাব বৈশাখের গরমে কিছু স্বাস্থ্যকর তরলের কথা।   

১. বাঙ্গি  জুস

এটি অনেক শীতল একটি পানীয়।  যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য খুবই ভালো। দ্রুত হজম হওয়া ছাড়াও এই তরল সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এ ছাড়া এই জুসের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-এ।  এটি চোখের জন্য উপকারী। 

২. তরমুজে জুস

তরমুজের জুস খুব স্বাদের। তবে জুস করার সময় বিচি ফেলে জুস করলে ভালো। এই জুসও ব্লাডপ্রেশার কমাতে, ত্নক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে বেশি খেলে পেট গরম হতে পারে বা গ্যাস হতে পারে। তাই চিনি ছাড়া ১৫০ থেকে ২০০ মিলিলিটার জুস দিনে একবার খাওয়া যেতে পারে।

৩. বেলের জুস

পেটের জন্য খুব উপকারী একটি জুস। বিশেষ করে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে, তাদের জন্য খুবই উপকারী।  বেলের জুস চিনি ছাড়া খেলে ভালো। বেলের জুসে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে। এটি রক্তের ইলেকট্রলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৪. লেবুর জুস

এই তরলটি বানানো খুব সহজ হলেও এর গুণ কিন্তু অনেক। লেবু, সামান্য লবণ আর একটু মধু বা তালমিশ্রি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন সহজ এই তরল।  লেবুপানি আপনাকে রাখবে সতেজ আর আর্দ্র। লেবুপানির ক্যালরি নির্ভর করবে আপনি তাতে মিষ্টি কী এবং কতটুকু মেশাবেন তার ওপর। লেবু-মধু পানি ওজন কমাতেও উপকারী।  বৈশাখে ঘোরাঘুরি করার সময় সঙ্গে রাখতে পারেন এই তরল।

৫. টক দইয়ের লাচ্ছি

টক দই, সামান্য বিট লবণ, লেবুপাতা বা পুদিনা আর বিশুদ্ধ পানি দিয়ে তৈরি  করা লাচ্ছি শরীরের জন্য খুব উপকারী।  এটি এমন তরল, যা থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়। হজমে খুব সহায়ক।  বৈশাখে অনেক ভারী খাবার খেয়ে নিলে তার সঙ্গে কোল্ড ড্রিংক না পান করে এই তরল পান করলে তা হজমে সাহায্য করবে।

৬. কাঁচা আমের জুস

বৈশাখের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তরল। এটি শরীরের নানা উপকারে আসে। এটি সূর্যরশ্মির কারণে ত্বকের পুড়ে যাওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এটি হিট স্ট্রোক হওয়া প্রতিরোধে উপকারী। রক্তের ইলেকট্রলাইটসের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৭. ডাবের পানি 

এই প্রাকৃতিক তরল অনেক স্বাস্থ্যকর। পানিশূন্যতা প্রতিরোধে এর জুরি নেই। অনেক পটাসিয়াম থাকে বলে এই তরল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও পেশির সুস্থতায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সুতরাং, এই বৈশাখে ঘরে তৈরি নানা তরল আপনাকে রাখবে সুস্থ।  তবে পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ তরল হলো বিশুদ্ধ পানি। তাই যেকোনো তরলের পাশাপাশি গ্রহণ করুন পর্যাপ্ত পানি। এটি আপনাকে নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে। 

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও টিপস পেতে ভিসিট করুন অন্যান্য ব্লগগুলো।

সন্তান প্রসবে সবচেয়ে বেশি ব্যয় সিজারে

বাংলাদেশের পরিবারগুলো সন্তান প্রসব সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যয়ের মধ্যে সিজারে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে থাকে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণার তথ্যমতে, স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সুযোগ থাকা জায়গায় সন্তান সিজারের মাধ্যমে প্রসব হলে প্রতিটি জন্মে গড়ে ২১ হাজার ১২১ টাকা (২৫০ ডলার) ব্যয় হয়। অপরদিকে স্বাভাবিকভাবে জন্ম হলে মাত্র পাঁচ হাজার ৬৯ টাকা (৬০ ডলার) ব্যয় হয়।

চলতি বছরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা: সবার জন্য সর্বত্র’। এতে আর্থিক কষ্ট ছাড়াই গুণগত মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং বলা হয়, স্বাস্থখাতে ব্যয়ের ফলে প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের দিকে চলে যাচ্ছে।

আইসিডিডিআরবির গবেষণায়ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বৃদ্ধির চিত্র উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে সিজারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে প্রায় ৩১ শতাংশ প্রসব হচ্ছে সিজারের মাধ্যমে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী, সিজারের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হলে তা ঠিক আছে বলে ধরে নেওয়া হলেও বাংলাদেশে তা অনেক বেশি। আইসিডিডিআরবি এর আগে তাদের গবেষণায় সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে জাতীয় তদারকির আহ্বান জানিয়েছিল।

আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও দ্য ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব হেলথ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে প্রকাশিত গবেষণাটির মূল লেখক ডা. আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে বিত্তবানরা সন্তান জন্মের সময় প্রতি প্রসবে প্রায় ২৮০ মার্কিন ডলার ব্যয় করেন।

তবে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারগুলোও সিজারের ক্ষেত্রে অন্তত ২০০ মার্কিন ডলার ব্যয় করেন, যোগ করেন আব্দুর রাজ্জাক।

সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যয় বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারগুলোর এ ব্যয় বাংলাদেশের জন্য খুবই ভয়ানক একটি ব্যাপার। কারণ যেখানে সর্বস্তরের জনসাধারণকেই এখনো স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনা যায়নি।

২০১৪ সালে বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) তথ্যনুসারে, চার হাজার ৫০০টি সন্তান প্রসবের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে ডা. আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, আমরা আরো লক্ষ করেছি, যেসব নারীদের বয়স ৩৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে তারা বেশি ব্যয় করছেন এবং আশ্চর্যজনক বিষয় হলো যারা সন্তান জন্মের আগে থেকেই স্বাস্থ্যসেবা নিয়মিত নিয়েছেন এমনকি অনেক উচ্চ শিক্ষিত নারীরাও সিজারে বেশি ব্যয় করেছেন। শহরাঞ্চলে এ চিত্রটি সবচেয়ে বেশি।

গবেষক বলেন, সন্তান প্রসবের এ অতিরিক্ত ব্যয়ের বেশিরভাগই আসে পারিবারিক উৎস (আয় ও সঞ্চয়) থেকে। এতে করে ওই পরিবারের জীবনযাত্রা ও দৈনন্দিন গৃহস্থালিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। Source: ICDDRB

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।

দিনের বেলায় ঘুম দূর করবেন কীভাবে

অনিদ্রার চিকিৎসা হলো ভালোভাবে ঘুমানো। তবে  অতিরিক্ত ঘুমের  চিকিৎসা কী?  রাতে ভালোভাবে ঘুমানো, হালকা ব্যায়াম করা ইত্যাদি অতিরিক্ত ঘুম বা ঘুম ঘুম ভাব কমাতে উপকারী।

আসলে অনেকেরই দিনে বেলায় অযথা  ঘুম পায় বা ঘুম ঘুম ভাব হয়। তবে  কিছু কৌশল মেনে চললে দিনের বেলায় ঘুমের ভাব কমানো সম্ভব। দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব কমানোর কিছু সহজ উপায় জানিয়েছে  স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ান মিলিয়ন হেলথ টিপস।

১. রাতে ভালোভাবে ঘুমান

দিনে ঘুম পাওয়ার একটি বড় কারণ হলো রাতে ভালোভাবে না ঘুমানো। রাতে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমালে দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব অনেকটাই কমানো যায়।

২. একটু ঘুমিয়ে নিন

দিনের বেলায় খুব ঘুম পেলে অন্তত ১০ থেকে ২০ মিনিট ঘুমিয়ে  নিন। এতে শরীর অনেকটাই চাঙ্গা হবে; আলসেমি ভাব কমবে।

৩. চা- কফি পান করুন

ঘুম দূর করতে চা- কফি পানের উপায়টি বেশ পুরোনো। এটিও কাজে লাগাতে পারেন ঘুম দূর করতে চাইলে।

৪. বিরতি দিন

কাজের সময় খুব ঘুম পেলে একটু বিরতি দিন।  এই সময় ডেস্ক থেকে ওঠে গিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এটিও দিনের বেলায় ঘুম কমাতে কাজ করবে।

৫. হালকা ব্যায়াম করুন

দিনের বেলায় ঘুম দূর করার আরেকটি উপায় হলো হালকা ব্যায়াম। এই ক্ষেত্রে পুশ- আপ, ক্রাঞ্চেস, পা ওঠা- নামা বা জগিং করুন। এটি ওজন কমাতে কাজ করবে এবং দিনের বেলার ঘুম কমাবে। Source: NTV Online

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।

কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না, বুঝবেন কীভাবে?

কিডনি এমন একটি অঙ্গ, যেটি অবিরত কাজ করতে থাকে। এটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। অধিকাংশ কিডনি রোগের বেলায় কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। রোগ খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গেলে লক্ষণ বোঝা যায়।

কিডনির সমস্যার কিছু লক্ষণের বিষয়ে জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

১. ত্বকের শুষ্কতা

ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতাসহ চুলকানি ও হাইপার পিগমেন্টেশন কিডনির সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ করে।

২. মুখে দুর্গন্ধ

অনেক রোগেই মুখে দুর্গন্ধ হয়। এসব রোগের মধ্যে অন্যতম ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। কিডনির সমস্যা হলো মেটাবলিজম প্রোডাক্ট (বিপাক পণ্য) রক্ত থেকে সহজে বের হয় না। এ কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়।

৩. শরীর ফোলা

শরীরে পানি আসা কিডনির সমস্যার একটি লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে প্রথমে পায়ে পানি আসে, এরপর ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ শরীরে পানি আসতে শুরু করে।

৪. উচ্চ জ্বর

উচ্চ জ্বরসহ পিঠে ভীষণ ব্যথা, প্রস্রাবের সমস্যা হওয়া, বমি হওয়া ইত্যাদি কিডনির সমস্যার লক্ষণ। এ লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন কেন?

ভারতীয় ডাক্তারগণ অনেক অভিজ্ঞ এবং তাঁদের জ্ঞানের পরিধি অনেক দেশের ডাক্তারদের চাইতে অনেক বেশী। এর প্রধান কারণ হল, ডাক্তার হবার ডিগ্রী প্রাপ্তির পরেও তাঁরা নিয়মিত প্রচুর পড়াশোনা করে থাকেন। ভারতীয় ডাক্তারদের এটা একটা দারুন ঐতিহ্য। একারণে দিন দিন তাঁদের যোগ্যতা বেড়েই চলে এবং নিত্য নতুন রোগ ও তাঁদের প্রতিকার সম্পর্কে তাঁদের যথেষ্ট ভাল ধারনা থাকে। এছাড়া ভারতের হাসপাতাল গুলো আধুনিক ও পর্যাপ্ত পরিমান যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জিত। সব চাইতে বড় যে কারণ সেটা হল, ছোট হোক কিংবা বড়, ভারতীয় হাসপাতালের ডাক্তার এবং অন্যান্য সদস্যরা অনেক সততার সাথে রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন। রোগীদের চিকিৎসা খরচ কমানোর ব্যাপারেও তাঁরা নিজেরাই সচেষ্ট থাকেন। থাকেনা তাঁদের আন্তরিকতার কোন অভাব। কোন দেশের ডাক্তারদের ছোট করতে চাইনা, তবে যারাই ভারত গিয়েছেন চিকিৎসার জন্য, তাঁদের বেশিরভাগই ভারতীয় চিকিৎসার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার আরেকটি বড় কারণ হল চিকিৎসার কম খরচ। এখানে উন্নত মানের চিকিৎসা পাওয়া যায় যার খরচ তুলনামুলকভাবে অনেক কম। একারণে ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমান মানুষ ভারতে চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলীয়দের সংখ্যা সবচাইতে বেশী। বিদেশী অতিথিদের সমাগম বৃদ্ধি পাবার কারণে ভারত সরকারও চিকিৎসার মান উন্নয়নের ব্যাপারে আপোষহীন। একই সাথে চিকিৎসা ব্যয়কেও তাঁরা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ফলস্বরূপ কম খরচে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর লোক ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গমন করে থাকেন। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। ভারতের বেশ কিছু শহর আছে যেখানে বেশ কম খরচে উন্নত মানের চিকিৎসা পাওয়া যায়। আমাদের আজকের ব্লগে আমরা তুলে ধরবো ভারতে চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা তথ্য।

ভারতে চিকিৎসাকোন শহরে আছে ভাল হাসপাতালগুলো?

বিশাল দেশ ভারত। এর প্রতিটি শহরেই রয়েছে হাসপাতাল। তবে এর মধ্যে অনেকগুলো শহর রয়েছে যেগুলো চিকিৎসার জন্যে একটু বেশী বিখ্যাত। এগুলো হলঃ

১। চেন্নাই

২। মুম্বাই

৩। নয়া দিল্লী

৪। গোয়া

৫। বেঙ্গালোর

৬। আহমেদাবাদ

৭। কইম্বাটর

৮। ভেলর

৯। আলেপ্পে

১০। হায়দ্রাবাদ For Appointment visit mediaider.com

চিকিৎসা সম্পর্কিত আরও তথ্য পেতে ও হাসপাতাল সম্পর্কে জানতে এই ব্লগটি ভিসিট করুন।

দুধ চা নাকি রঙ চা-কোনটি বেশি উপকারি?

জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ১৬ জন মহিলার উপর একটি গবেষনা করেন ।তাদের প্রত্যেককে একবার করে রঙ চা, দুধ চা এবং শুধু গরম পানি পান করতে দেয়া হয় এবং প্রতিবার-ই আল্ট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতে তাদের রক্তনালীর প্রসারন মাপা হয়।এতে দেখা যায় যে, রঙ চা রক্তনালীর প্রসারন ঘটায় যা উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য অত্যন্ত জরুরী। চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন এর জন্য দায়ী। দুধের মধ্যে থাকা ক্যাসেইন নামক একটি পদার্থ চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন কে বাধাগ্রস্থ করে ফেলে। ফলে চায়ে দুধ মেশালে চায়ের রক্তনালী প্রসারনের ক্ষমতা একবারেই চলে যায়।

অন্য একটি গবেষনায়  ইউ এস কৃষি অনুষদের গবেষকেরা ইঁদুরের কোষ এর উপর পরীক্ষা করে দেখেন যে, চায়ের প্রভাবে কোষ গুলো থেকে সাধারণের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন নির্গত হয়, যা ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রনে অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এই ইনসুলিন নির্গমনের হার কমতে থাকে। যদি ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো হয়ে, তাহলে ইনসুলিন এর নির্গমন শতকরা ৯০% কমে যায়।

রঙ চা উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রনে অত্যন্ত কার্যকরী কিন্তু দুধ চা নয়।চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও দেহের জীবকোষের ক্ষয় রোধ করে। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এর কিছু গুন কমে যেতে পারে। কয়েক বছর আগে এক গবেষনায় দেখা গেছে চায়ের মধ্যে ট্যানিন্ নামের একটি উপাদান খাদ্যনালির ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। চুলায় চা পাতা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্বাল দিলে চায়ের ট্যানিন বেশি বের হয়। সাধারণ চায়ের দোকানে চা পাতা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্বাল দেয়ার ফলে ট্যানিন্ বেশি বের হয়,এরকম চায়ের ক্ষেত্রে কিছু দুধ দরকার।এই দুধ চায়ের ট্যানিন্ কে আঁকড়ে ধরে এবং তাকে শরীরে মিশতে দেয় না। এ জন্য বেশি জ্বালের চায়ের ক্ষেত্রে দুধ মেশালে উপকার পাওয়া যেতে পারে। আর সাম্প্রতিক গবেষণার ফল অনুযায়ী, হালকা জ্বালের রং চা-ই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও তথ্য পেতে এই ব্লগটি ভিসিট করুন।

হৃদরোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিরোধে করনীয়

এক সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা যায়, ২০০০ সালের শুরু থেকে প্রতিবছর ১৭ মিলিয়ন লোক মারা যায় হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালিজনিত রোগের কারণে। দেখা যায়, হৃৎপিণ্ডে রক্তনালির ও মস্তিষ্কের স্ট্রোকজনিত কারণে মৃত্যুর হার ক্যানসার, এইচআইভি-এইডস ও ম্যালেরিয়া থেকে বেশি। বর্তমানে ৩১ শতাংশ মৃত্যুর কারণ ধরা হয় এই হৃদ্‌রোগ ও রক্তনালিজনিত রোগের কারণে এবং অল্প বয়সে ৮০ শতাংশের মৃত্যুর কারণও এ হৃদ্‌রোগকে দায়ী করা হয়।

হৃদ্‌রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট হওয়া, অনিয়ন্ত্রিত হৃৎস্পন্দন হওয়া ইত্যাদি। এনজাইনা হচ্ছে রোগীর সাধারণত বুকে ব্যথা, বুকে চাপ অনুভব করা, বুক ভার ভার হওয়া, দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হওয়া ইত্যাদি। কারও করোনারি আর্টারি বা হার্টের রক্তনালির ৭০ শতাংশ ব্লক হয়ে গেলে তখনই এনজাইনা হয়ে থাকে। কখনো কখনো এনজাইনা থেকে হার্ট অ্যাটাক হয়। আবার করোনারি ধমনি যখন ১০০ শতাংশ ব্লক হয়, তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের ফলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক একটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, যেখানে জীবন ও মৃত্যু খুব কাছাকাছি চলে আসে। এটি সাধারণত বয়স্কদের রোগ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে, ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সী মানুষের এটি হয়ে থাকে। আমাদের এ দেশে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের এটি হয়ে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমাদের দেশের লোকের ১০ বছর আগেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। এখন ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী, এমনকি ২৫-৩০ বছর বয়সী ব্যক্তিরাও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন। যার অন্যতম কারণ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খাওয়া, ধূমপান ও তামাকজাতীয় দ্রব্য সেবন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম না করা ও অ্যালকোহল পান করা।

এ ছাড়া এ অঞ্চলে দুর্বল হার্ট বা কার্ডিওমায়োপ্যাথি একটি পরিচিত হৃদ্‌রোগ, যেখানে হার্টের কার্যক্ষমতা কমে যায়। বাতজ্বরজনিত হৃদ্‌রোগ বাংলাদেশের আরেকটি বড় সমস্যা। সাধারণত ছোটবেলায় বাতজ্বর থেকে পরবর্তী সময়ে বাতজ্বরজনিত হৃদ্‌রোগ হয়ে থাকে। বাতজ্বরজনিত রোগে সাধারণত হার্টের ভালভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর মধ্যে কিছু রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব। আর কিছু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। যদি সময়মতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে শল্যচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হতে পারে।

হৃদ্‌রোগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণের মধ্যে যদি কারও পরিবারে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শিশুর জন্মগত হৃদ্‌রোগ থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমানোর জন্য আমাদের কিছুই করার থাকে না।

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি এড়াতে আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের জাঙ্ক ফুড খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে কায়িক পরিশ্রম করা, হাঁটাহাঁটি করা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান না করা ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

এ বছর বিশ্ব হার্ট দিবস পালনের উদ্দেশ্য আমাদের হার্টের যত্ন নেওয়ার জন্য কয়েকটা বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। সেগুলো হলো আপনার হার্টকে জানুন, হার্টকে শক্তিশালী করুন ও হার্টকে ভালোবাসুন। যখন আপনার হার্টের অসুখ থাকবে, তখন সবকিছুতে নিজেকে ক্লান্ত মনে হবে। আপনি ক্রমাগত বৃদ্ধ হতে থাকবেন। আপনি হয়ে যাবেন অনুভূতিহীন।

এই দিবস পালনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মধ্যে হৃদ্‌রোগ-সম্পর্কিত জ্ঞান দেওয়া হয়, যাতে তারা সময়মতো হার্ট পরীক্ষা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান বর্জন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমে নিজেদের নিয়োজিত রাখা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া ও অ্যালকোহল পান থেকে নিজেকে বিরত রাখার মাধ্যমে নিজেদের হার্টকে সুস্থ ও সচল রাখতে পারে। তাই সাধারণ জনগণকে তাদের অভ্যাস পরিবর্তনে উৎসাহ প্রদান করা ও হৃদ্‌রোগ-সম্পর্কিত জ্ঞান প্রদান করাই বিশ্ব হার্ট দিবসের মূল উদ্দেশ্য।

অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান
হৃদ্‌রোগ, বাতজ্বর, বক্ষব্যাধি, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
অধ্যাপক, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসকে অবহেলা নয়

আমাদের চারপাশে প্রতি ১০ জন নারীর একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সাধারণ ডায়াবেটিসের পাশাপাশি নারীরা বিশেষ ধরনের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হন, যার চিকিৎসাপদ্ধতি ও জটিলতা ভিন্ন। রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা পাওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস জনিত মৃত্যুর হারও নারীদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় বেশি।

*  অল্প বয়সেই বিপুলসংখ্যক নারী গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থান ভেদে এই সংখ্যা ৮ থেকে ১৪ শতাংশ। ওজনাধিক্য, পারিবারিক ইতিহাস, কায়িক শ্রমহীনতা, বেশি বয়সে সন্তান জন্মদান ইত্যাদি এর ঝুঁকি বাড়ায়। আগের সন্তানের বেলায় ডায়াবেটিস থাকলে বা আগে গর্ভপাত বা গর্ভে সন্তান মৃত্যুর ঘটনা থাকলে ঝুঁকি আরও বেশি। গর্ভধারণের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা জরুরি।

* যাঁদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে, তাঁদের আবার একটা বিরাট সংখ্যা পরে ডায়াবেটিক রোগীতে পরিণত হন। সন্তান জন্মের ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর আবার গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করে এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ হতে হবে।

* বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত, গর্ভে সন্তানের মৃত্যু বা নবজাতক মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটলে ডায়াবেটিসের কথা মাথায় রাখা উচিত। যাঁরা আগে থেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁরা সন্তান নেওয়ার আগে ভালো করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, ওষুধের পরিবর্তে ইনসুলিন গ্রহণ করে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

* ডায়াবেটিসের কারণে বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ, যোনিপথের ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি সমস্যা নারীকে পর্যুদস্ত করে দেয়। এ ছাড়া ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

ডা. তানজিনা হোসেন
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ
সোর্স – প্রথম আলো

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।

About Diabetes: A Scientific Elucidation


It is an interesting observation that during my day to day consultation with my patients I have found every third person to be suffering from Diabetes and almost every alternate patient has got somebody in their family who is suffering from Diabetes. This extremely high prevalence of Diabetes is evident only in our country.
The management of Diabetes is getting eased off over the last few decades due to immense research work which is being done in the discipline of Diabetes throughout the globe. In spite of so much of development, hurdles remain profound in managing Diabetes. These hurdles are ignorance and ill –information regarding Diabetes among citizens and foremost of all are the misconceptions regarding Diabetes.
I can presume that whichever Physician a patient consults, he gets quite a bit of information regarding the management of Diabetes and in most of cases it is quite unlikely that there will be any difference of opinion. The problem remains in the dedication of adequate time to explain each and everything about Diabetes which is hardly given by any physician nowadays. Even I take 45 mins to examine and give adequate consultation to a Diabetic patient. All the physicians want their patients to keep on doing well without any ups and downs. But even then, be due to inadequate sharing of information from the physicians part or due to negative typecasting of the doctor fraternity by the media, it is hard to find a patient to sustain his/her treatment with a single Physician. The trust never develops and that is quite unfortunate. If one does not have adequate confidence in the qualification and credibility of the doctors’ management skills then the overall treatment gets a hard beating.
The motto behind authoring this Diabetes Manual is quite simple. It is to make things very clear and lucid regarding Diabetes. 
The size of the manual is quite large and it is being delivered with basic information regarding Diabetes. The adverse events of Diabetic Medicines have been incorporated and also I have ensured that the Targets in management of Diabetes are also well elucidated which is very important information. Facts and facets regarding Insulin should be very clear. Most of the people are afraid of Insulin. The two most important reasons behind this fear are first of all it is in injectable form and most of us are afraid of injections and secondly, a myth is imbibed among the common people that usage of insulin is a tell-tale sign of end-stage of Diabetes which is actually a big negative idea. Even it took pains to break the ice while initiating insulin to my mother who is a 12-year long diabetic and that now when her blood glucose is under control, she is disbelieving the laboratory reports.
Whatever, I have immense faith in the readers of this article as I hope to incorporate correct information regarding diabetes and break the myths. It is strongly recommended that you should consult your physician and Diabetologist for proper management of Diabetes and in case of any discrepancy of information provided in this composition.

(Source: www.practo.com)

To know more about diabetes visit this blog.