পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ঢাকার স্কুলপড়ুয়া শিশুদের ৯৫ শতাংশের দেহে উচ্চ মাত্রার ‍নিকোটিনের উপস্থিতি

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসের আগের দিন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেছে তারা।

প্রজ্ঞার বিবৃতিতে বলা হয়, “তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশে শিশু যক্ষ্মা রোগী উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৭ সালে এই হার বেড়ে ৪.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৩ সালে ছিল মাত্র ২.৮ শতাংশ। 

“সাম্প্রতিক এক গবেষণায় রাজধানী ঢাকার প্রাথমিক স্কুলে পড়া ৯৫ শতাংশ শিশুর দেহে উচ্চমাত্রার নিকোটিন পাওয়া গেছে, যার মূল কারণ পরোক্ষ ধূমপান।”

গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনও তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে।

গবেষণার তথ্য তুলে ধরে প্রজ্ঞার বিবৃতিতে বলা হয়, “কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৮১ লাখ মানুষ। এমনকি বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে ৪ কোটি ৮ লাখ মানুষ এবং এক্ষেত্রে নারীরা আক্রান্ত হচ্ছে অনেক বেশি। “

বিবৃতিতে বলা হয়, তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায় । আর পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মারা যায় ১০ লাখ মানুষ, যার বড় একটি অংশ শিশু।

“ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত অসুস্থতা বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এবং গোটা বিশ্বে মৃত্যুর ৫টি শীর্ষস্থানীয় কারণের মধ্যে ২টিই ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত জটিলতা।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগ।

ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র জটিলতার সঙ্গে তামাক সেবনের সম্পর্ক বিষয়ে জনসাধারণ এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ব্যাপক পরিসরে সচেতনতা তৈরিতে এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘টোবাকো অ্যান্ড লাং হেলথ’।

এই প্রতিপাদ্য অনুসরণ করে বাংলাদেশে বিশ্ব তামাক দিবসের স্লোগান করা হয়েছে,  ‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয়, সুস্বাস্থ্য কাম্য তামাক নয়’।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসকে সামনে রেখে ফুসফুসের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছে প্রজ্ঞা।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কার্যকর কর ও মূল্য পদক্ষেপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকপণ্যের দাম অত্যন্ত কম। ফলে দেশের তরুণ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী খুব সহজেই তামাক ব্যবহার শুরু করতে পারে।

“স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যই আসন্ন বাজেটে কার্যকর কর আরোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম জনগণ, বিশেষ করে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।”

গৃহস্থালি, কর্মস্থল, গণপরিবহনসহ সব ধরনের পাবলিক প্লেসে পরোক্ষ ধূমপানের প্রকোপ কমানো না গেলে ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত জটিলতা এবং মৃত্যু হ্রাস করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন তিনি।

“এক্ষেত্রে সকল পাবলিক প্লেস থেকে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করাসহ বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাক কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে,” বলেন জুবায়ের।

আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটিপস পেতে ঘুরে আসুন এই ওয়েবসাইট এ।

১৯৮৭ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলো তামাকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ণের লক্ষ্যে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করে আসছে। Source: Bdnews24.com

অফিসে ওজন বাড়ার অন্যতম চার কারণ

বর্তমানে অধিকাংশই ডেস্কের চাকরি করেন। অফিসের ডেস্কে বসেই পার করে দেন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। কখনো কখনো এর চেয়েও বেশি। তবে জানেন কি, ডেস্কে টানা বসে কাজ করা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে? এ রকম আরো কারণ রয়েছে অফিসে বা ডেস্কে ওজন বাড়ার।

জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।

. অন্যের সঙ্গী হওয়া

আপনার পেট ভরা রয়েছে, তবুও সহকর্মীকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে খাবার খেলেন। বারবার এভাবে খাওয়া কিন্তু ওজন বাড়িয়ে দেয়।

. খাবারের প্রতি অমনোযোগ

কাজের চাপে হয়তো খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে পারছেন না। বাসার স্বাস্থ্যকর খাবারের বদলে খেয়ে ফেলছেন বাইরের পিৎজা বা ভাজাপোড়া খাবার। এতেও ওজন বাড়ে।

. টানা বসে কাজ করা

অফিসের ডেস্কে টানা বসে কাজ করলে ওজন বাড়ে। কারণ, এতে ক্যালরি ঝরে না। তাই অফিসে ব্যায়াম করা সম্ভব না হলেও বাসায় এর জন্য কিছুটা সময় রাখুন। সেটা হোক সকালে বা বিকেলে।

আর ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সব সময় যে জিমেই যেতে হবে, সেটি নয়। হাঁটুন বা দৌড়ান। এগুলো তো নিজে থেকেই করতে পারেন।

. মানসিক চাপ

কাজের চাপ বা মানসিক চাপ ওজন বাড়ার একটি অন্যতম কারণ। মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্ক থেকে করটিসল হরমোন বের হয়। এতে ক্ষুধা বাড়ে। তাই খাওয়া বেশি হয়। আর বেশি খেলে তো ওজন বাড়বেই।

আরও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত  টিপস পেতে ঘুরে আসুন অন্যান্য ওয়েবসাইট এ।

প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা

বর্তমানে আমরা অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর। কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা হয় না বললেই চলে। তবে সুস্বাস্থ্যের জন্য কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে অনেক আগে থেকেই। 

খুব ভারী ব্যায়ামের সময় না পেলেও প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা স্বাস্থ্যের উপকার করে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার কিছু গুণের কথা জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

১. হাঁটা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে
প্রতিদিন হাঁটা হৃদস্পন্দনকে ভালো রাখে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরের বাজে কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এতে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।

২. বিপাক বাড়ায়
হাঁটা আমাদের হজমের পদ্ধতিকে উদ্দীপ্ত করে এবং পাকস্থলীর থেকে হজম রস বের করতে কাজ করে। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হয়, বিপাক হার বাড়ে। এ ছাড়া হাঁটা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

৩. হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করে
প্রতিদিন হাঁটা হাড় ক্ষয় কমায় এবং হাড় শক্ত করে। নিয়মিত হাঁটা জয়েন্টের শুষ্কতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে আরথ্রাইটিসও প্রতিরোধ হয়। 

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
হাঁটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শ্বেত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। নিয়মিত হাঁটলে ঠান্ডা, ফ্লু প্রতিরোধ করা যায়।

৫. সুখী করে
পার্কের মধ্যে পছন্দের কোনো মিউজিক শুনতে শুনতে হাঁটা মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে; মন ভালো রাখে। এটি বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে। 

আরও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টিপস পেতে ঘুরে আসুন অন্যান্য ওয়েবসাইট এ।

মাইগ্রেনের ব্যথা? তেজপাতার চা পান করে দেখুন

সাধারণত খাবারের গন্ধ সুন্দর করার জন্য তেজপাতা ব্যবহার করা হয়। তবে জানেন কি মাথাব্যথা, বিশেষ করে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে তেজপাতার চা খুব উপকারী।

তেজপাতার মধ্যে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। খাবারের মধ্যে এই পাতার নিয়মিত ব্যবহার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। তবে আপনি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগলে তেজপাতার চা পান করে দেখতে পারেন।

মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে তেজপাতার চা তৈরি করার প্রণালি জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ান মিলিয়্ন হেলথ টিপস।

উপাদান

১. তিনটি তেজপাতা

২. দুটি ছোট লেবু (কেটে নিতে হবে)

৩. ১৬ আউন্স পানি

যেভাবে তৈরি করবেন

১. একটি পাত্রের মধ্যে সব উপাদান নিয়ে সেদ্ধ করুন।

২. ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা ঠান্ডা হতে দিন।

৩. এবার চা পান করুন। মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে নিয়মিত পান করতে পারেন তেজপাতার চা।

আরও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত  টিপস পেতে ঘুরে আসুন অন্যান্য ওয়েবসাইট এ।

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে রসুন কীভাবে খাবেন

সারা পৃথিবীতে নারীদের যত ক্যানসার রয়েছে, তার মধ্যে স্তন ক্যানসার এক নম্বর। ক্যানসারের কারণে হওয়া মৃত্যুর বেলায়ও শীর্ষে রয়েছে এটি।

আসলে স্তন ক্যানসার একটি জটিল রোগ। ধারণা করা হয়, জিনগত সমস্যা, জীবনযাপনের ধরন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি স্তন ক্যানসার ঘটানোর জন্য দায়ী। তাই স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি।

জানেন কি, রসুন স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে? গবেষণায় বলা হয়, রসুনের মধ্যে থাকা সালফার উপাদান, ফ্ল্যাভোনস ও ফ্ল্যাভোনয়েডস স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী।

এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।

গবেষণা বলছে, রসুন ক্যানসার কোষকে ধ্বংস করতে পারে, বিশেষ করে স্তন, মুখ, পাকস্থলী ও কোলনের ক্যানসারকে।

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে রসুন কীভাবে খাবেন?

রান্নার ১৫ মিনিট আগে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কোয়াগুলোকে কুচি করে নিন। এরপর রান্না করুন। এ ছাড়া রসুন কুচি করে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন।

তবে রক্ত পাতলা হওয়ার রোগ থাকলে বা অন্য কোনো অসুখ থাকলে নিয়মিত রসুন খাবেন কি না, চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন।

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন। 

লেবু ও রসুন একত্রে খেলে কী হয়?

লেবু ও রসুন নিঃসন্দেহে খুব চমৎকার খাবার। এগুলোর মধ্যে অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে।

লেবু ও রসুন একত্রে মিশিয়ে খেলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, কোলেস্টেরল কমে। বাজে কোলেস্টেরল বা এলডিএল আর্টারিতে জমা হলে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

লেবু ও রসুনের মিশ্রণ প্রণালি জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট কিং ডেমিক।

উপাদান

১. দুই কাপ লেবুর রস

২. এক কাপ রসুনের রস

৩. এক কাপ আদার রস

৪. এক কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

৫. তিন কাপ অর্গানিক মধু

৬. দুটি রসুনের কোয়া

৭. দুটি লেবুর টুকরো (ছোট করে কাটা)

যেভাবে তৈরি করবেন

একটি পাত্রের মধ্যে উপাদানগুলো একত্রে মিশিয়ে অল্প আঁচে সিদ্ধ করুন। আধা ঘণ্টা পর চুলা থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। এবার এর মধ্যে তিন কাপ অর্গানিক মধু মেশান।

এবার দুটো রসুনের কোয়া, ছোট করে কাটা দুটো লেবুর টুকরো এবং সামান্য পানি একত্রে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি সিদ্ধ করা মিশ্রণের সঙ্গে যোগ করুন। এবার একটি কাচের জারের মধ্যে মিশ্রণটি রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন খালি পেটে এক চা চামচ পান করুন।

তিন সপ্তাহ প্রতিদিন এভাবে পান করার পর এক সপ্তাহ বিরতি দিন। বিরতির পর আরো তিন সপ্তাহ পান করুন। বছরে দুবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এবং শরীরের অবস্থা বুঝে খান।

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন। 

গরমে সুস্থ থাকার নয় সূত্র

গরমে সুস্থ থাকার নয় সূত্র

ছবি :সংগৃহীত

গ্রীষ্মের তাপদাহে জনজীবন হয়ে পড়ে অস্থির। গরমের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে সবাই একটু ঠাণ্ডা পরশ খোঁজে। অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা, ডায়রিয়া, খাদ্যে বিষক্রিয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা হয়।

তবে একটু সচেতন হলে গরমেও সুস্থ থাকা যায়। গরমে সুস্থ থাকতে রইল কিছু পরামর্শ। 

১. গরমের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। পাশাপাশি তরল খাবার খান। তবে বাজারের অস্বাস্থ্যকর খোলা লেবুর শরবত, আখের রস, তরমুজের রস ইত্যাদি খাবেন না। কারণ, বাইরের অস্বাস্থ্যকর ফলের রস থেকে খাদ্যবাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন, ডায়ারিয়া, জন্ডিস  ইত্যাদি হতে পারে।

২. গরমের সময় পানিযুক্ত তাজা দেশি ফল যেমন, তরমুজ, পেঁপে, কলা, শসা, জামরুল ইত্যাদি বেশি করে খান।

৩. গরমে ঘাম জমে শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। তাই ঘাম জমতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে প্রত্যেক দিন আন্ডারওয়্যার ও মোজা পরিষ্কার করুন। গরমের এই দিনে মোটা কাপড় না পরাই ভালো। এ সময় সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দিন।

৪. গরমকালে রাস্তাঘাটে ধুলার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই  বাহির থেকে বাসায় এসে ভালো করে মুখ-হাত ধুয়ে ফেলুন।

৫. গরমে বাইরে বের হতে হলে টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন। আর প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো। 

৬. গরমের সময় গোসল বাদ দিবেন না। প্রয়োজনে কয়েকবার গোসল করতে হবে।

৭.  এ সময় বেশি মসলাযুক্ত খাবার এবং রাস্তায় বিক্রি হওয়া খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন। চা ,কফি , কোমল পানীয় খাবেন না। কারণ, এসব খাবার  শরীরে পানিস্বল্পতা তৈরি করে ।

৮. গরমের সময় খাবার তাড়াতাড়ি পচে যায় বা খাবারে বিষক্রিয়া হয়। এগুলো থেকে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই, খাবার যেন টাটকা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৯. গরমে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন। প্রস্রাবের গাঢ় রং পানি স্বল্পতার লক্ষণ। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

ডা. শাকিল মাহমুদ

লেখক : সভাপতি, বিশুদ্ধ খাদ্য চাই এবং সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।

আরওস্বাস্থ্য টিপসপেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।