করোনার টিকার জন্য কিভাবে নিবন্ধন করবেন?

দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি। ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে সবার আগে টিকা দেওয়া হবে। পরদিন ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেয়া হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে সারাদেশে করোনার গণ টিকাদান শুরুর পরিকল্পনা সরকারের। 

তবে তার আগে টিকা পেতে সবাইকে সবাইকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য ‘সুরক্ষা অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।

 যেভাবে করতে হবে অনলাইনে নিবন্ধন:
টিকা পেতে আগ্রহীরা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) গিয়ে অথবা মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে পারবেন। অ্যাপটি ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে। নিবন্ধনের পর সেখান থেকেই জানা যাবে, কবে কখন টিকা নিতে হবে।

১৮ বছরের কম বয়সীরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন না। কারণ, অপ্রাপ্তবয়স্কদের ওপর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি।

এই অ্যাপ্লিকেশনে পরিচয় যাচাইয়ে ১৮টি শ্রেণি করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি শ্রেণি সিলেক্ট করার পর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন শুরু করতে হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যাচাই হবে। সব ঠিক থাকলে স্ক্রিনে নিবন্ধনকারীর নাম দেখানো হবে বাংলা ও ইংরেজিতে। সেখানে একটি ঘরে মোবাইল ফোন নম্বর চাওয়া হবে। পরবর্তীতে ওই নম্বরেই নিবন্ধনকারীকে টিকাদান সংক্রান্ত তথ্য এসএমএস করা হবে।

মোবাইল নম্বর দেওয়ার পর একটি ঘর পূরণ করতে হবে, যেখানে জানাতে হবে নিবন্ধনকারীর দীর্ঘমেয়াদী রোগ বা কো মরবিডিটি আছে কি না, থাকলে কোন কোন রোগ আছে।

আরেকটি ঘরে নিবন্ধনকারীর পেশা জানাতে হবে এবং তিনি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কাজে সরাসরি জড়িত কি না তাও জানাতে হবে।

এরপর বর্তমান ঠিকানা ও কোন কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে ইচ্ছুক তা সিলেক্ট করতে হবে। সব শেষে ফরম সেইভ করলে নিবন্ধনকারীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে ওটিপি। সেই ওটিপি কোড দিয়ে ‘স্ট্যাটাস যাচাই’ বাটনে ক্লিক করলে নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে।  

নিবন্ধন সম্পন্ন হলে টিকার প্রথম ডোজের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ দিয়ে লগ ইন করে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া ওটিপি কোড দিয়ে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে।

এসএমএসে জানিয়ে দেয়া তারিখে টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কোভিড-১৯ এর টিকা নিতে হবে। এভাবে দুটি ডোজ নিতে হবে। তারপর সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন থেকে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সনদ সংগ্রহ করা যাবে।

জরায়ু ক্যান্সার কি এবং এর লক্ষন?

জরায়ুতে কোন কোষের অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে জরায়ু ক্যান্সার হয়ে থাকে। কোষের অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে টিউমার হয় যা পরে ক্যান্সারে রূপ নেয়। জরায়ু ক্যান্সারের সঠিক কারন এখনও জানা যায়নি, তবে অনেকে স্থুলতা, হাইপারপ্লাশিয়া, বাচ্চা না হওয়া, ৫৫ বছরের পর মেনোপোজ হওয়া ও পারিবারিক ক্যান্সার হওয়ার ইতিহাসকে এই ক্যান্সারের কারন হিসাবে ধরে থাকেন।

জরায়ু ক্যান্সারের কিছু সাধারণ লক্ষনঃ

– জরায়ুপথে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়া

– প্রস্রাবে জালাপোড়া ভাব

– পেলভিক পেইন

জরায়ু ক্যান্সার কিভাবে ধরা পরে?

জরায়ু ক্যান্সার পেপ টেস্ট, আলট্রাসাউন্ড, বায়পসি, পেলভিক পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান ও এম আর আইয়ের মাধ্যমে ধরা পরে।

জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা

-সার্জারি

-কেমোথেরাপি

-রেডিয়েশন

-হরমোন থেরাপি

জরায়ু ক্যান্সারের স্টেজ, রোগীর বয়স ও স্বাস্থ্য অনুযায়ী এর চিকিৎসা নির্ভর করে।

বিশ্বের ৫০ টি ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার জন্য কল করুন ০১৭ ৫৫৬৯ ০০০৭