গর্ভধারণে যা জানা জরুরি

একটি শিশুকে পৃথিবীর আলোয় আনার প্রধান কাজটি একজন নারীকেই করতে হয়। তাই গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় জানাটাও তার জন্য জরুরি। সন্তান ধারণে সক্ষমতা-অক্ষমতার বিষয়ে প্রচলিত অনেক বিশ্বাসের ভিত্তি যেমন নেই, আবার অনেক বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলছেন চিকিৎসকরা।

বয়স একমাত্র বাধা নয়

অধিকাংশ সময়ই বয়স ‘৩৫’ বছর হওয়ার আগেই সন্তান জন্মদান নিয়ে পরিবার থেকে চাপ আসে একজন নারীর ওপর। ধারণা করা হয়, এরপর থেকে সন্তান জন্ম দানের ক্ষমতা কমতে থাকে। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্কভিত্তিক ফার্টিলিটি ক্লিনিক সিসিআরএম’ এর মহাব্যবস্থাপক, ফাউন্ডিং পার্টনার ও প্র্যাকটিস ডিরেক্টর ব্রেইন লেভিন বলেন, ৩৫ বছরের চেয়েও অনেক কম বয়সী নারীরাও সন্তান জন্মদানে অক্ষম হতে পারে। তবে সন্তান ধারণের চেষ্টা না করা পর্যন্ত এটা জানা সম্ভব নয়।

সময়ের সঙ্গে কমে ডিম্বানুর মান

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন নারীর মা হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে। বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কারণে সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকিও বাড়ে। ওরিগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক পাওলো আমাতো বলেন, “বিশেষ করে ৩০ পেরোনোর পর নারীদের ডিম্বানুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমতে থাকে। তাই এসময় গর্ভধারণ কঠিন হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে গর্ভপাত ও অস্বাভাবিক আচরণের সন্তান জন্মগ্রহণের ঝুঁকি বাড়ে।”

অক্ষমতা পুরুষেরও হতে পারে

সন্তান না হলে অধিকাংশ সময়ই নারীকে দায়ী মনে করা হয়। কিন্তু সন্তান ধারণের বিষয়টি একজন নয়, বরং দুজনের ওপর নির্ভর করে। ড. লেভিন বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে দেখা যায়, সন্তান জন্মদানে অক্ষমতার দায় আসলে ৪০ শতাংশ হল নারীর, ৪০ শতাংশ পুরুষের। বাকি ২০ শতাংশ ঘটে অজানা কারণে।

নিশ্চিত হওয়া কঠিন কিছু নয়

সিস্ট বা অন্য কোনো কারণে বন্ধ্যাত্ব বা ইনফার্টিলিটি ঘটছে কি না, তা জানতে আগে সার্জারির প্রয়োজন হত। তবে এখন চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হওয়ায় আল্ট্রা সাউন্ড, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই এটা জানা সম্ভব।

ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত

প্রত্যেকের শারীরিক গঠন আলাদা। ড. লেভিন বলেন, ব্যক্তির জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গেও সন্তান জন্মদানের সক্ষমতা পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন নারী ম্যারাথনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে তার নিয়মিত ঋতুচক্র পিছিয়ে যেতে পারে। আবার সেই নারীই প্রশিক্ষণ গ্রহণ বন্ধ করে দিলে তা ঠিক হয়ে যেতে পারে।

অক্ষমতার অনেক কারণই চিকিৎসাযোগ্য

ফ্যালোপেইন টিউবের ব্লক, জরায়ুতে ফাইব্রয়েড, ডিম্বাশয়ের সিস্ট, থাইরয়েডের সমস্যাসহ সন্তান ধারণে অক্ষমতার বেশ কিছু কারণ সহজেই নিরাময়যোগ্য।

ওভ্যুলেশনের হিসেব অনুযায়ী গর্ভধারণের চেষ্টা করা

পুরো মাসের সব দিন নয়, বরং ওভ্যুলেশনের আগে ও কাছাকাছি কয়েকদিনই (৫ দিনের মতো) কেবল গর্ভধারণে সফল হওয়া সম্ভব। সাধারণত পরবর্তী ঋতুচক্র শুরু হওয়ার ১৪ দিন আগে ওভ্যুশেলন ঘটে। তাই গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময় এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

ওভ্যুলেশনের সঠিক সময় নির্ধারণ

ইয়েল মেডিকেল বিদ্যালয়ের অবসট্রেটিক, গাইনোকোলজি ও রিপ্রোডাকটিভ সায়েন্সের অধ্যাপক মেরি জেন মিনকিন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আগে নিজে নিজেই ওভ্যুলেশনের সঠিক সময় নির্ণয়ের পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া ওভ্যুলেশন কিট দিয়ে সহজেই এটা পরীক্ষা করা যায়। আর এটা সঠিকও হয়। যদি পরীক্ষায় ধরা পড়ে যে ওভ্যুলেশশন ঘটছে না তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। আর ওভ্যুলেশন যদি ঘটে তাহলে এর সঠিক সময় নির্ধারণ করে সেভাবে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে হবে।

চিকিৎসককে সব খুলে বলা

যৌনবাহিত কোনো রোগ থাকলে ফ্যালোপেইন টিউব ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর এতে গর্ভধারণ কঠিন হতে পারে। কারণ ফ্যালোপেইন টিউব দিয়েই জরায়ুতে পৌঁছায় ডিম্বানু। তাই গর্ভধারণ বিষয়ক চিকিৎসা শুরু করলে চিকিৎসককে অবশ্যই সব খুলে বলা উচিৎ।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজনসহ সুস্বাস্থ্যের অনেক বিষয় জড়িত সন্তান ধারণের সঙ্গে। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা করলে ওজন নিয়ন্ত্রণ, ভিটামিন গ্রহণ, ধুমপান ও মদ্যপান বাদ দেওয়াসহ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা উচিৎ।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

শরীরচর্চার সঠিক সময় কোনটি?

সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা খুবই জরুরি। একটাকে বাদ দিলে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তবে দিনের কোন সময়টা শরীরচর্চার জন্য আদর্শ, তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ।

আমরা অনেকেই সকালবেলাকে শরীরচর্চার সঠিক সময় মনে করি। বিপাক হার বাড়ানো বা সারাদিনে আরো অনেক কাজের ফাঁকে শরীরচর্চা করার সময় না পাওয়ার অজুহাত এড়াতে এ সময়টাই উত্তম মনে করা হয়। তবে যে ব্যক্তি সাধারণত সকাল সকাল ঘুম থেকেই উঠতে পারে না, তার জন্য এটা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

কারো যদি শরীরচর্চা করার নিধিারিত সময় না থাকে, তাহলে দিনের যে কোনো সময় নিজের সুবিধামতো এটা করতে পারে। কোনো ব্যক্তি সন্ধ্যায় ব্যায়াম করলে যদি তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তার তার উচিত দিনের শুরুর দিকে তা করা।

শরীরচর্চা অব্যাহত রাখতে হলে এমন ধরনের শরীরচর্চা বেছে নেওয়া উচিত যা থেকে একজন ব্যক্তি আনন্দ পায়। সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির উচিত সমাজকর্ম সম্পর্কিত শরীরচর্চার ধরন বেছে নেওয়া। যেমন, শরীরচর্চার ক্লাসে যোগ দেওয়া যেতে পারে বা একদল বন্ধুর সঙ্গে গল্প করতে করতে হাঁটা যেতে পারে।

কেউ যদি একা সময় কাটাতে পছন্দ করে তাহলে হাঁটা, সাঁতার বা সাইকেল চালানো তার জন্য ভালো। যে ব্যক্তি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করে সে পরিবারের সবাইকে নিয়েই শরীরচর্চা (যেমন রাতের খাবার খাওয়ার পর হাঁটা) করতে পারে।

দিনের যে কোনো সময়ই করা যায় এমন কিছু শরীরচর্চা হল হাঁটা, দৌড়ানো, জগিং, সাঁতার, নাচ ও এয়ারোবিকস, বাইকিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা, খেলাধুলা করা, যোগ ব্যয়াম, বক্সিং, কিক বক্সিং, মার্শাল আর্ট ইত্যাদি।

শরীরচর্চার অনেক ধরন রয়েছে। এগুলো থেকে নিজের পছন্দ ও সুবিধামতো বেছে নিয়ে করা যায়। আর একঘেয়েমি এড়াতে একসঙ্গে কয়েকটি শরীরচর্চাও করা যেতে পারে।

সূত্র: হেলদি ফর গুড হার্ট

মাস্ক ব্যবহার কারা করবেন?

চীন থেকে অনেক দেশ ও অঞ্চলের পাশাপাশি বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে তিন রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সচেতনতা হিসেবে অনেকেই মাস্ক পরছেন।

আবার মাস্ক ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে মতও দিচ্ছেন অনেকে। ঘুরেফিরে উঠে আসছে একটি প্রশ্নই, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কতটা প্রতিরোধ করবে ফেস মাস্ক?

মাস্ক ব্যবহার নিয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হয়েছে সরকারের এক তথ্য বিরণীতে।

এতে বলা হয়েছে,

* সাধারণভাবে সবার মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই।

* তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা অবশ্যই মাস্ক পরবেন।

* পর্যবেক্ষণে রাখা ও কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা এবং তাদের পরিবার পরিজনরাও মাস্ক পরবেন।

* সেবা প্রদানকারী ডাক্তার/নার্স/অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী/পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মাস্ক পরতে হবে।

* যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন বয়স্ক ব্যক্তি, লিভার/কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস, স্ট্রোক অথবা ক্যান্সারে ভুগছেন এ ধরনের ব্যক্তিসহ যারা রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন, তারাও মাস্ক ব্যবহার করবেন।

বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে যা করতে হবে

বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় কিছু নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এসব জানানো হয়েছে।

* কোয়ারেন্টিনে বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। তা সম্ভব না হলে অন্যদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঘুমানোর জন্য পৃথক বিছানা ব্যবহার করতে হবে। আলো–বাতাস ঢোকে, এমন ঘরে থাকতে হবে।

* সম্ভব হলে পৃথক গোসলখানা এবং শৌচাগার ব্যবহার করতে হবে। সম্ভব না হলে ওই স্থানগুলোতে জানালা খুলে রেখে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যদের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়, এমন স্থানের সংখ্যা কমাতে হবে।

বুকের দুধ খাওয়ান এমন মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন। শিশুর কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক পরতে হবে এবং ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

* কোয়ারেন্টিনে থাকা শিশুকে তার জন্য প্রযোজ্যভাবে বোঝাতে হবে। তাদের পর্যাপ্ত খেলার সামগ্রী দিতে হবে। খেলার আগে ও পরে খেলনাগুলো জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

* কোয়ারেন্টিনে কোনো পশুপাখি রাখা যাবে না।

* বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে একই ঘরে অবস্থান করলে, বিশেষ করে এক মিটারের মধ্যে আসার সময় মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

* প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক পরে থাকার সময় এটি হাত দিয়ে ধরা যাবে না। মাস্ক ব্যবহারের সময় সর্দি, থুতু, কাশি, বমি ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক খুলে নতুন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহৃত মাস্ক ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলে সাবান–পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।

একজনের ব্যক্তিগত সামগ্রী আরেকজন ব্যবহার করবেন না। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির থালা, গ্লাস, কাপসহ বাসনপত্র, তোয়ালে, বিছানার চাদর অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। এসব জিনিসপত্র ব্যবহারের পর সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

* কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির ব্যবহৃত বা তার পরিচর্যায় ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, টিস্যু ইত্যাদি অথবা অন্য আবর্জনা ওই ঘরে রাখা ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলতে হবে। এসব আবর্জনা উন্মুক্ত স্থানে না ফেলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

* দৈনন্দিন রুটিন, যেমন খাওয়া, হালকা ব্যায়াম ইত্যাদি মেনে চলতে হবে। সম্ভব হলে বাসা থেকে অফিসের কাজ করতে হবে।

* বই পড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা অথবা ওপরের নিয়মগুলোর পরিপন্থী নয় এমন যেকোনো বিনোদনমূলক কাজে যুক্ত হওয়া যাবে।

* পরিবারের কোনো সুস্থ সদস্য অর্থাৎ যাদের দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, অ্যাজমা ইত্যাদি নেই, এমন একজন ব্যক্তি পরিচর্যাকারী হিসেবে নিয়োজিত হতে পারেন। তিনি ওই ঘরে বা পাশের ঘরে থাকবেন। অবস্থান বদল করবেন না। কোয়ারেন্টিনে আছেন, এমন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো অতিথিকে দেখা করতে দেওয়া যাবে না।

পরিচর্যাকারী খালি হাতে ওই ঘরের কোনো কিছু স্পর্শ করবেন না।

* কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা তার ঘরে ঢুকলে, খাবার তৈরির আগে ও পরে, খাবার আগে, শৌচাগার ব্যবহারের পরে, গ্লাভস পরার আগে ও খোলার পরে বা যখনই হাত দেখে নোংরা মনে হবে, তখনই দুই হাত পরিষ্কার করতে হবে।

* ঘরের মেঝে, আসবাব, শৌচাগার ও বাথরুম প্রতিদিন অন্তত একবার পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কারের জন্য এক লিটার পানির মধ্যে ২০ গ্রাম বা ২ টেবিল চামচ ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে তা দিয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে। ওই দ্রবণ সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।

* কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকে নিজের কাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি গুঁড়া সাবান বা কাপড় কাঁচার সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে বলতে হবে। কাপড় ভালোভাবে শুকাতে হবে।

* নোংরা কাপড় একটি লন্ড্রি ব্যাগে আলাদা রাখতে হবে। মলমূত্র বা নোংরা লাগা কাপড় ঝাঁকানো যাবে না এবং নিজের শরীর বা কাপড়ে যেন না লাগে, তা খেয়াল করতে হবে।

* কোয়ারেন্টিনের সময় ফোন, ইন্টারনেটের সাহায্যে যোগাযোগ রাখতে হবে।

* কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় কোনো উপসর্গ যেমন ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর, কাশি, সর্দি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা দিলে অতি দ্রুত আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে পরবর্তী করণীয় জেনে নিতে হবে।

* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোয়ারেন্টিন শেষ হবে। চিকিৎসকের সিদ্ধান্তমতে একজন থেকে অন্যজনের কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা আলাদা হতে পারে। তবে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ সময়সীমা ১৪ দিন।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো

পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ঢাকার স্কুলপড়ুয়া শিশুদের ৯৫ শতাংশের দেহে উচ্চ মাত্রার ‍নিকোটিনের উপস্থিতি

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসের আগের দিন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেছে তারা।

প্রজ্ঞার বিবৃতিতে বলা হয়, “তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশে শিশু যক্ষ্মা রোগী উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৭ সালে এই হার বেড়ে ৪.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৩ সালে ছিল মাত্র ২.৮ শতাংশ। 

“সাম্প্রতিক এক গবেষণায় রাজধানী ঢাকার প্রাথমিক স্কুলে পড়া ৯৫ শতাংশ শিশুর দেহে উচ্চমাত্রার নিকোটিন পাওয়া গেছে, যার মূল কারণ পরোক্ষ ধূমপান।”

গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনও তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে।

গবেষণার তথ্য তুলে ধরে প্রজ্ঞার বিবৃতিতে বলা হয়, “কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৮১ লাখ মানুষ। এমনকি বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে ৪ কোটি ৮ লাখ মানুষ এবং এক্ষেত্রে নারীরা আক্রান্ত হচ্ছে অনেক বেশি। “

বিবৃতিতে বলা হয়, তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায় । আর পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মারা যায় ১০ লাখ মানুষ, যার বড় একটি অংশ শিশু।

“ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত অসুস্থতা বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এবং গোটা বিশ্বে মৃত্যুর ৫টি শীর্ষস্থানীয় কারণের মধ্যে ২টিই ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত জটিলতা।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগ।

ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র জটিলতার সঙ্গে তামাক সেবনের সম্পর্ক বিষয়ে জনসাধারণ এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ব্যাপক পরিসরে সচেতনতা তৈরিতে এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘টোবাকো অ্যান্ড লাং হেলথ’।

এই প্রতিপাদ্য অনুসরণ করে বাংলাদেশে বিশ্ব তামাক দিবসের স্লোগান করা হয়েছে,  ‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয়, সুস্বাস্থ্য কাম্য তামাক নয়’।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসকে সামনে রেখে ফুসফুসের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছে প্রজ্ঞা।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কার্যকর কর ও মূল্য পদক্ষেপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকপণ্যের দাম অত্যন্ত কম। ফলে দেশের তরুণ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী খুব সহজেই তামাক ব্যবহার শুরু করতে পারে।

“স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যই আসন্ন বাজেটে কার্যকর কর আরোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম জনগণ, বিশেষ করে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।”

গৃহস্থালি, কর্মস্থল, গণপরিবহনসহ সব ধরনের পাবলিক প্লেসে পরোক্ষ ধূমপানের প্রকোপ কমানো না গেলে ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত জটিলতা এবং মৃত্যু হ্রাস করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন তিনি।

“এক্ষেত্রে সকল পাবলিক প্লেস থেকে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করাসহ বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাক কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে,” বলেন জুবায়ের।

আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটিপস পেতে ঘুরে আসুন এই ওয়েবসাইট এ।

১৯৮৭ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলো তামাকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ণের লক্ষ্যে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করে আসছে। Source: Bdnews24.com

অফিসে ওজন বাড়ার অন্যতম চার কারণ

বর্তমানে অধিকাংশই ডেস্কের চাকরি করেন। অফিসের ডেস্কে বসেই পার করে দেন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। কখনো কখনো এর চেয়েও বেশি। তবে জানেন কি, ডেস্কে টানা বসে কাজ করা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে? এ রকম আরো কারণ রয়েছে অফিসে বা ডেস্কে ওজন বাড়ার।

জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।

. অন্যের সঙ্গী হওয়া

আপনার পেট ভরা রয়েছে, তবুও সহকর্মীকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে খাবার খেলেন। বারবার এভাবে খাওয়া কিন্তু ওজন বাড়িয়ে দেয়।

. খাবারের প্রতি অমনোযোগ

কাজের চাপে হয়তো খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে পারছেন না। বাসার স্বাস্থ্যকর খাবারের বদলে খেয়ে ফেলছেন বাইরের পিৎজা বা ভাজাপোড়া খাবার। এতেও ওজন বাড়ে।

. টানা বসে কাজ করা

অফিসের ডেস্কে টানা বসে কাজ করলে ওজন বাড়ে। কারণ, এতে ক্যালরি ঝরে না। তাই অফিসে ব্যায়াম করা সম্ভব না হলেও বাসায় এর জন্য কিছুটা সময় রাখুন। সেটা হোক সকালে বা বিকেলে।

আর ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সব সময় যে জিমেই যেতে হবে, সেটি নয়। হাঁটুন বা দৌড়ান। এগুলো তো নিজে থেকেই করতে পারেন।

. মানসিক চাপ

কাজের চাপ বা মানসিক চাপ ওজন বাড়ার একটি অন্যতম কারণ। মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্ক থেকে করটিসল হরমোন বের হয়। এতে ক্ষুধা বাড়ে। তাই খাওয়া বেশি হয়। আর বেশি খেলে তো ওজন বাড়বেই।

আরও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত  টিপস পেতে ঘুরে আসুন অন্যান্য ওয়েবসাইট এ।

প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা

বর্তমানে আমরা অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর। কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা হয় না বললেই চলে। তবে সুস্বাস্থ্যের জন্য কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে অনেক আগে থেকেই। 

খুব ভারী ব্যায়ামের সময় না পেলেও প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা স্বাস্থ্যের উপকার করে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার কিছু গুণের কথা জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

১. হাঁটা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে
প্রতিদিন হাঁটা হৃদস্পন্দনকে ভালো রাখে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরের বাজে কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এতে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।

২. বিপাক বাড়ায়
হাঁটা আমাদের হজমের পদ্ধতিকে উদ্দীপ্ত করে এবং পাকস্থলীর থেকে হজম রস বের করতে কাজ করে। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হয়, বিপাক হার বাড়ে। এ ছাড়া হাঁটা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

৩. হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করে
প্রতিদিন হাঁটা হাড় ক্ষয় কমায় এবং হাড় শক্ত করে। নিয়মিত হাঁটা জয়েন্টের শুষ্কতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে আরথ্রাইটিসও প্রতিরোধ হয়। 

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
হাঁটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শ্বেত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। নিয়মিত হাঁটলে ঠান্ডা, ফ্লু প্রতিরোধ করা যায়।

৫. সুখী করে
পার্কের মধ্যে পছন্দের কোনো মিউজিক শুনতে শুনতে হাঁটা মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে; মন ভালো রাখে। এটি বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে। 

আরও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টিপস পেতে ঘুরে আসুন অন্যান্য ওয়েবসাইট এ।

মাইগ্রেনের ব্যথা? তেজপাতার চা পান করে দেখুন

সাধারণত খাবারের গন্ধ সুন্দর করার জন্য তেজপাতা ব্যবহার করা হয়। তবে জানেন কি মাথাব্যথা, বিশেষ করে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে তেজপাতার চা খুব উপকারী।

তেজপাতার মধ্যে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। খাবারের মধ্যে এই পাতার নিয়মিত ব্যবহার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। তবে আপনি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগলে তেজপাতার চা পান করে দেখতে পারেন।

মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে তেজপাতার চা তৈরি করার প্রণালি জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ান মিলিয়্ন হেলথ টিপস।

উপাদান

১. তিনটি তেজপাতা

২. দুটি ছোট লেবু (কেটে নিতে হবে)

৩. ১৬ আউন্স পানি

যেভাবে তৈরি করবেন

১. একটি পাত্রের মধ্যে সব উপাদান নিয়ে সেদ্ধ করুন।

২. ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা ঠান্ডা হতে দিন।

৩. এবার চা পান করুন। মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে নিয়মিত পান করতে পারেন তেজপাতার চা।

আরও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত  টিপস পেতে ঘুরে আসুন অন্যান্য ওয়েবসাইট এ।

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে রসুন কীভাবে খাবেন

সারা পৃথিবীতে নারীদের যত ক্যানসার রয়েছে, তার মধ্যে স্তন ক্যানসার এক নম্বর। ক্যানসারের কারণে হওয়া মৃত্যুর বেলায়ও শীর্ষে রয়েছে এটি।

আসলে স্তন ক্যানসার একটি জটিল রোগ। ধারণা করা হয়, জিনগত সমস্যা, জীবনযাপনের ধরন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি স্তন ক্যানসার ঘটানোর জন্য দায়ী। তাই স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি।

জানেন কি, রসুন স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে? গবেষণায় বলা হয়, রসুনের মধ্যে থাকা সালফার উপাদান, ফ্ল্যাভোনস ও ফ্ল্যাভোনয়েডস স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী।

এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।

গবেষণা বলছে, রসুন ক্যানসার কোষকে ধ্বংস করতে পারে, বিশেষ করে স্তন, মুখ, পাকস্থলী ও কোলনের ক্যানসারকে।

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে রসুন কীভাবে খাবেন?

রান্নার ১৫ মিনিট আগে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কোয়াগুলোকে কুচি করে নিন। এরপর রান্না করুন। এ ছাড়া রসুন কুচি করে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন।

তবে রক্ত পাতলা হওয়ার রোগ থাকলে বা অন্য কোনো অসুখ থাকলে নিয়মিত রসুন খাবেন কি না, চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন।

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন। 

লেবু ও রসুন একত্রে খেলে কী হয়?

লেবু ও রসুন নিঃসন্দেহে খুব চমৎকার খাবার। এগুলোর মধ্যে অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে।

লেবু ও রসুন একত্রে মিশিয়ে খেলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, কোলেস্টেরল কমে। বাজে কোলেস্টেরল বা এলডিএল আর্টারিতে জমা হলে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

লেবু ও রসুনের মিশ্রণ প্রণালি জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট কিং ডেমিক।

উপাদান

১. দুই কাপ লেবুর রস

২. এক কাপ রসুনের রস

৩. এক কাপ আদার রস

৪. এক কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

৫. তিন কাপ অর্গানিক মধু

৬. দুটি রসুনের কোয়া

৭. দুটি লেবুর টুকরো (ছোট করে কাটা)

যেভাবে তৈরি করবেন

একটি পাত্রের মধ্যে উপাদানগুলো একত্রে মিশিয়ে অল্প আঁচে সিদ্ধ করুন। আধা ঘণ্টা পর চুলা থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। এবার এর মধ্যে তিন কাপ অর্গানিক মধু মেশান।

এবার দুটো রসুনের কোয়া, ছোট করে কাটা দুটো লেবুর টুকরো এবং সামান্য পানি একত্রে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি সিদ্ধ করা মিশ্রণের সঙ্গে যোগ করুন। এবার একটি কাচের জারের মধ্যে মিশ্রণটি রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন খালি পেটে এক চা চামচ পান করুন।

তিন সপ্তাহ প্রতিদিন এভাবে পান করার পর এক সপ্তাহ বিরতি দিন। বিরতির পর আরো তিন সপ্তাহ পান করুন। বছরে দুবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এবং শরীরের অবস্থা বুঝে খান।

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।