জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ১৬ জন মহিলার উপর একটি গবেষনা করেন ।তাদের প্রত্যেককে একবার করে রঙ চা, দুধ চা এবং শুধু গরম পানি পান করতে দেয়া হয় এবং প্রতিবার-ই আল্ট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতে তাদের রক্তনালীর প্রসারন মাপা হয়।এতে দেখা যায় যে, রঙ চা রক্তনালীর প্রসারন ঘটায় যা উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য অত্যন্ত জরুরী। চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন এর জন্য দায়ী। দুধের মধ্যে থাকা ক্যাসেইন নামক একটি পদার্থ চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন কে বাধাগ্রস্থ করে ফেলে। ফলে চায়ে দুধ মেশালে চায়ের রক্তনালী প্রসারনের ক্ষমতা একবারেই চলে যায়।
অন্য একটি গবেষনায় ইউ এস কৃষি অনুষদের গবেষকেরা ইঁদুরের কোষ এর উপর পরীক্ষা করে দেখেন যে, চায়ের প্রভাবে কোষ গুলো থেকে সাধারণের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন নির্গত হয়, যা ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রনে অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এই ইনসুলিন নির্গমনের হার কমতে থাকে। যদি ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো হয়ে, তাহলে ইনসুলিন এর নির্গমন শতকরা ৯০% কমে যায়।
রঙ চা উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রনে অত্যন্ত কার্যকরী কিন্তু দুধ চা নয়।চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও দেহের জীবকোষের ক্ষয় রোধ করে। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এর কিছু গুন কমে যেতে পারে। কয়েক বছর আগে এক গবেষনায় দেখা গেছে চায়ের মধ্যে ট্যানিন্ নামের একটি উপাদান খাদ্যনালির ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। চুলায় চা পাতা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্বাল দিলে চায়ের ট্যানিন বেশি বের হয়। সাধারণ চায়ের দোকানে চা পাতা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্বাল দেয়ার ফলে ট্যানিন্ বেশি বের হয়,এরকম চায়ের ক্ষেত্রে কিছু দুধ দরকার।এই দুধ চায়ের ট্যানিন্ কে আঁকড়ে ধরে এবং তাকে শরীরে মিশতে দেয় না। এ জন্য বেশি জ্বালের চায়ের ক্ষেত্রে দুধ মেশালে উপকার পাওয়া যেতে পারে। আর সাম্প্রতিক গবেষণার ফল অনুযায়ী, হালকা জ্বালের রং চা-ই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও তথ্য পেতে এই ব্লগটি ভিসিট করুন।