স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে রসুন কীভাবে খাবেন

সারা পৃথিবীতে নারীদের যত ক্যানসার রয়েছে, তার মধ্যে স্তন ক্যানসার এক নম্বর। ক্যানসারের কারণে হওয়া মৃত্যুর বেলায়ও শীর্ষে রয়েছে এটি।

আসলে স্তন ক্যানসার একটি জটিল রোগ। ধারণা করা হয়, জিনগত সমস্যা, জীবনযাপনের ধরন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি স্তন ক্যানসার ঘটানোর জন্য দায়ী। তাই স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি।

জানেন কি, রসুন স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে? গবেষণায় বলা হয়, রসুনের মধ্যে থাকা সালফার উপাদান, ফ্ল্যাভোনস ও ফ্ল্যাভোনয়েডস স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী।

এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।

গবেষণা বলছে, রসুন ক্যানসার কোষকে ধ্বংস করতে পারে, বিশেষ করে স্তন, মুখ, পাকস্থলী ও কোলনের ক্যানসারকে।

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে রসুন কীভাবে খাবেন?

রান্নার ১৫ মিনিট আগে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কোয়াগুলোকে কুচি করে নিন। এরপর রান্না করুন। এ ছাড়া রসুন কুচি করে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন।

তবে রক্ত পাতলা হওয়ার রোগ থাকলে বা অন্য কোনো অসুখ থাকলে নিয়মিত রসুন খাবেন কি না, চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন।

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন। 

লেবু ও রসুন একত্রে খেলে কী হয়?

লেবু ও রসুন নিঃসন্দেহে খুব চমৎকার খাবার। এগুলোর মধ্যে অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে।

লেবু ও রসুন একত্রে মিশিয়ে খেলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, কোলেস্টেরল কমে। বাজে কোলেস্টেরল বা এলডিএল আর্টারিতে জমা হলে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

লেবু ও রসুনের মিশ্রণ প্রণালি জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট কিং ডেমিক।

উপাদান

১. দুই কাপ লেবুর রস

২. এক কাপ রসুনের রস

৩. এক কাপ আদার রস

৪. এক কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

৫. তিন কাপ অর্গানিক মধু

৬. দুটি রসুনের কোয়া

৭. দুটি লেবুর টুকরো (ছোট করে কাটা)

যেভাবে তৈরি করবেন

একটি পাত্রের মধ্যে উপাদানগুলো একত্রে মিশিয়ে অল্প আঁচে সিদ্ধ করুন। আধা ঘণ্টা পর চুলা থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। এবার এর মধ্যে তিন কাপ অর্গানিক মধু মেশান।

এবার দুটো রসুনের কোয়া, ছোট করে কাটা দুটো লেবুর টুকরো এবং সামান্য পানি একত্রে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি সিদ্ধ করা মিশ্রণের সঙ্গে যোগ করুন। এবার একটি কাচের জারের মধ্যে মিশ্রণটি রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন খালি পেটে এক চা চামচ পান করুন।

তিন সপ্তাহ প্রতিদিন এভাবে পান করার পর এক সপ্তাহ বিরতি দিন। বিরতির পর আরো তিন সপ্তাহ পান করুন। বছরে দুবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এবং শরীরের অবস্থা বুঝে খান।

আরও স্বাস্থ্য টিপস পেতে অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।